তুহিন আহমেদ দেশের একটি মাল্টিন্যাশনাল টোব্যাকো কোম্পানীর প্রোজেক্ট ম্যানেজার। বিভিন্ন ধরনের সাইকেল প্রোগ্রামিং প্ল্যানগুলি উনি করে থাকেন। তিনি উনার কর্মজীবনের সব কিছু করেছেন যুক্তি দিয়ে বিচার করে। কখনও আবেগকে প্রশ্রয় দেননি। এ জন্যেই তিনি এত উপরে উঠতে পেরেছেন। কর্পোরেট দুনিয়ার রুলসই হচ্ছে এটা। স্মাপ্রতিক সময়ে ঘটে যাওয়া জার্মান কোম্পানী সিমেন্স এর কেলেঙ্কারীর ঘটনা এর সবচেয়ে বড় উদাহরণ। এখানে নীতির কোন বালাই নেই। কাজ উদ্ধার করাই হচ্ছে সবচেয়ে বড় কথা। সেটা ঘুষ বা অন্য কোন কিছুর বিনিময়ে হোক সেটা বড় কথা নয়।
যতক্ষণ তোমার প্রয়োজন, তুমি এখানে আছ। তারপর তোমাকে কারো দরকার নেই। নতুন আরেকজন এসে তোমার জায়গা দখল করে নেবে।
সামনে উনার কোম্পানী নতুন প্রডাক্ট লঞ্চ করতে যাচ্ছে। এখানে উনার ভূমিকা সবচেয়ে বেশী। যদি উনার প্ল্যান সাকসেসফুল হয় তবে উনাকে প্রমোশন দিয়ে আরও উপরের কোন পোস্ট দেয়া হবে।
আর ব্যার্থ হলে উনাকে এখান থেকেই বিদায় নিতে হবে। ব্যর্থতার দায় ভার সম্পূর্ন তোমার। এখানে কোম্পানী তোমাকে কোন সাপোর্ট ধরনের দেবে না।
যার কারণে সিমেন্সের হিসাব রক্ষক অফিসার সিকাখচেক কে বর্তমানে জেল খাটতে হচ্ছে। যদিও কোম্পানীর সম্মতিতেই তিনি এ কাজ করেছেন। এ সব কাজের জন্যে কোম্পানীর বছরে ৫ কোটি ডলারের বাজেটই বরাদ্দ ছিল। তারপরও শেষ পর্যন্ত কোম্পানী পার পেতে পারেনি। গত ১২ ডিসেম্বর আদালতের্ একটি রায়ে সিমেন্স কে ১৬০ কোটি ডলার এবং অতিরিক্ত আরও ১০০ কোটি ডলারের জরিমানা গুনতে হচ্ছে।
তুহিন আহমেদ এখন কাজ করছেন ৩০ বছরের কম বয়সী ধূমপায়ীদের নিয়ে। কোম্পানীর ভাষায় SMOKER UNDER 30 । এর মানে হচ্ছে বয়স্ক ধূমপায়ীদের নিয়ে মাথা ঘামিয়ে লাভ নেই কারণ কিছুদিনের মধ্যেই তাদের আয়ু ফুরিয়ে যাবে। তাই ইয়ং জেনারেশনকে টোব্যাকোর প্রতি আসক্ত করে তুলতে হবে কারণ এরাই হবে দীর্ঘ মেয়াদী সম্পন্ন কনজুমার।
মিডিয়া উপরে উপরে যতই এটা নিয়ে চিল্রা ফাল্রা করুক কখনই তারা এমন কোন ধরনের নিউজ প্রচার করে না যাতে করে ঐ সব কোম্পানীর ব্যাবসার কোন ধরনের ক্ষতি হোক। কারণ আর কিছুই নয় ঐ সব কোম্পানী মাসে মাসে বিভিন্ন ভাবে মিডিয়ার পেছনে বিপুল পরিমাণে টাকা খরচ করে থাকে। অতএব কি দরকার এদের পেছনে লেগে।
যদিও বর্তমানে আইন করে টোব্যাকোর সব ধরনের প্রচার বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। কিন্তু তারপরও তাদের প্রচারণা থেমে নেই। কোন না কোন ভাবে তারা আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে তাদের প্রচারনা ঠিকই চালিয়ে যাচ্ছে। যেহেতু বর্তমানে উন্নত বিশ্বের দেশগুলিতে টোব্যাকো-ল ধীরে ধীরে কঠিন করা হচ্ছে তাই এখন ব্যাবসার জন্যে এদের প্রথম পছন্দ তৃতীয় বিশ্বের দরিদ্র দেশগুলি। এখানে আইনকে ফাকি দেয়া সহজ। সরকারও খুশি কারণ প্রতি বছর ট্যাক্স ও ভ্যাট বাবদ প্রচুর টাকা রাজস্ব খাতে জমা হচ্ছে।
তুহিন আহমেদ একজন চেইন স্মোকার। উনার ছেলের বয়স কত হবে ১০-১২। একদিন সে বড় হবে এবং এক সময় উনার মতই একজন চেইন স্মোকারে পরিণত হবে। কিছুই করার নেই। যে বিষ বৃক্ষ তিনি আজ রুপণ করে দিয়ে যাচ্ছেন তার থেকে কারো রেহাই নেই। এমন কি উনার আপন জনেরও।
যতক্ষণ তোমার প্রয়োজন, তুমি এখানে আছ। তারপর তোমাকে কারো দরকার নেই। নতুন আরেকজন এসে তোমার জায়গা দখল করে নেবে।
সামনে উনার কোম্পানী নতুন প্রডাক্ট লঞ্চ করতে যাচ্ছে। এখানে উনার ভূমিকা সবচেয়ে বেশী। যদি উনার প্ল্যান সাকসেসফুল হয় তবে উনাকে প্রমোশন দিয়ে আরও উপরের কোন পোস্ট দেয়া হবে।
আর ব্যার্থ হলে উনাকে এখান থেকেই বিদায় নিতে হবে। ব্যর্থতার দায় ভার সম্পূর্ন তোমার। এখানে কোম্পানী তোমাকে কোন সাপোর্ট ধরনের দেবে না।
যার কারণে সিমেন্সের হিসাব রক্ষক অফিসার সিকাখচেক কে বর্তমানে জেল খাটতে হচ্ছে। যদিও কোম্পানীর সম্মতিতেই তিনি এ কাজ করেছেন। এ সব কাজের জন্যে কোম্পানীর বছরে ৫ কোটি ডলারের বাজেটই বরাদ্দ ছিল। তারপরও শেষ পর্যন্ত কোম্পানী পার পেতে পারেনি। গত ১২ ডিসেম্বর আদালতের্ একটি রায়ে সিমেন্স কে ১৬০ কোটি ডলার এবং অতিরিক্ত আরও ১০০ কোটি ডলারের জরিমানা গুনতে হচ্ছে।
তুহিন আহমেদ এখন কাজ করছেন ৩০ বছরের কম বয়সী ধূমপায়ীদের নিয়ে। কোম্পানীর ভাষায় SMOKER UNDER 30 । এর মানে হচ্ছে বয়স্ক ধূমপায়ীদের নিয়ে মাথা ঘামিয়ে লাভ নেই কারণ কিছুদিনের মধ্যেই তাদের আয়ু ফুরিয়ে যাবে। তাই ইয়ং জেনারেশনকে টোব্যাকোর প্রতি আসক্ত করে তুলতে হবে কারণ এরাই হবে দীর্ঘ মেয়াদী সম্পন্ন কনজুমার।
মিডিয়া উপরে উপরে যতই এটা নিয়ে চিল্রা ফাল্রা করুক কখনই তারা এমন কোন ধরনের নিউজ প্রচার করে না যাতে করে ঐ সব কোম্পানীর ব্যাবসার কোন ধরনের ক্ষতি হোক। কারণ আর কিছুই নয় ঐ সব কোম্পানী মাসে মাসে বিভিন্ন ভাবে মিডিয়ার পেছনে বিপুল পরিমাণে টাকা খরচ করে থাকে। অতএব কি দরকার এদের পেছনে লেগে।
যদিও বর্তমানে আইন করে টোব্যাকোর সব ধরনের প্রচার বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। কিন্তু তারপরও তাদের প্রচারণা থেমে নেই। কোন না কোন ভাবে তারা আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে তাদের প্রচারনা ঠিকই চালিয়ে যাচ্ছে। যেহেতু বর্তমানে উন্নত বিশ্বের দেশগুলিতে টোব্যাকো-ল ধীরে ধীরে কঠিন করা হচ্ছে তাই এখন ব্যাবসার জন্যে এদের প্রথম পছন্দ তৃতীয় বিশ্বের দরিদ্র দেশগুলি। এখানে আইনকে ফাকি দেয়া সহজ। সরকারও খুশি কারণ প্রতি বছর ট্যাক্স ও ভ্যাট বাবদ প্রচুর টাকা রাজস্ব খাতে জমা হচ্ছে।
তুহিন আহমেদ একজন চেইন স্মোকার। উনার ছেলের বয়স কত হবে ১০-১২। একদিন সে বড় হবে এবং এক সময় উনার মতই একজন চেইন স্মোকারে পরিণত হবে। কিছুই করার নেই। যে বিষ বৃক্ষ তিনি আজ রুপণ করে দিয়ে যাচ্ছেন তার থেকে কারো রেহাই নেই। এমন কি উনার আপন জনেরও।
No comments:
Post a Comment