মা তার বাচ্চাকে কোল নিয়ে খুব আগ্রহ করে তাকিয়ে আছে। সামনে ছেলের বাবা পশু জবাই করছে। অসহায় একটি পশুকে বেঁধে ফেলে গলায় ছুরি চালানো হচ্ছে। পশুটির দু চোখে বেঁচে থাকার সীমাহীন আকুতি।
বোবা প্রাণীটি সম্ভবত বলতে চায়, আমরা নির্বোধ পশু কিন্তু সৃষ্টির সেরা জীব মানুষ তোমরা এত নিষ্ঠুর কেন।
কাটা গলা দিয়ে ফিনকি দিয়ে রক্ত বের হচ্ছে। রক্তে বাবার সমত্ত শরীর ভিজে যাচ্ছে। গলা কাটা পশুটি ব্যথার যন্ত্রনায় ছটফট করছে। এক সময় পশুটির সমত্ত দেহ নিথর হয়ে আসে।
বাবার চোখে বিজয় আনন্দের উল্লাস। মার মুখে পরিতৃপ্তির হাসি। এই দৃশ্য দেখে এক সময় তার ছেলেও বাবার মতই সাহসী হবে। ছেলের চোখে রাজ্যের বিস্ময়। সে কিছুই বুঝতে পারছে না। কিন্তু তার অবচেতন মনে ঠিকই সম¯ত্ত ঘটনাটি গেঁথে যায়।
২৫ বছর পর নির্জন এক রাস্তায় ছেলেটি এক নিরীহ লোককে চাপাতি দিয়ে কোপাচ্ছে। লোকটি দেশের একজন প্রখ্যাত সাংবাদিক। ছেলেটির তা জানার কথা নয়। জানার কোন মাথা ব্যথাও তার নেই। ছোট বেলায় দেখা এমনই একটি কাছাকাছি ঘটনার স্মৃতি ছেলেটির অবচেতন মনে ছায়া ফেলে। ছেলেটি ঠিক মনে করতে পারে না। মনে করার তার সময়ও নেই। খুব দ্রুত কাজ শেষ করে তাকে চলে যেতে হবে।
লোকটির দু চোখে বেঁচে থাকার প্রবল আকুতি। উনিতো করো কোন ক্ষতি করেননি, তাহলে কেন উনার প্রতি পশুর মতো এমন একটি আচরণ করা হচ্ছে। বিড় বিড় করে বলতে চেষ্টা করেন, হে সৃষ্টির সেরা জীব মানুষ তোমরা এত নিষ্ঠুর কেন।
সীমাহীন স্বচ্ছ নীল আকাশে একটি বলাকা উড়ে যাচ্ছে। নীচে রাজ পথে পড়ে আছে এ দেশেরই এক সাংবাদিকের রক্তাত দেহ। যিনি এক সময় দেশের জনগনের জন্যে কলম তুলে নিয়েছিলেন। উনার কলমের কালি এক সময় দেশের জনগণকে অনুপ্রাণিত করেছে। আজ উনার রক্তেই দেশের জনপদ স্নাত হচ্ছে।
Thursday, June 5, 2008
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
No comments:
Post a Comment