তখনও ভাল করে ভোরের আলো ফোটেনি। রান্নাঘর থেকে দালিহার বাসনপত্র নাড়াচাড়ার শব্দ ভেসে আসছে। তার স্বামী খুব ভোরে কাজে চলে যায়। তার জন্য খাবার তৈরীতে দালিহা ব্যস্ত। খাবার শেষ করে দালিহার স্বামী ঘুমন্ত দুই বাচ্চার গালে চুমু খায়। দালিহার কাছ থেকে বিদায় নিয়ে কাজের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয়।
প্রভাতের প্রথম রশ্মি তার ঘুমন্ত বাচ্চাদের মুখে এসে পড়ে। একটার বয়স আট, অপরটির চার। দালিহা মুগ্ধ হয়ে তাকিয়ে থাকে। ভোরের এই আলোয় তার সন্তানদের মুখ স্বর্গের দেবদূতের মতো মনে হয়। ফিলিস্তিনের গাজা সীমান্তবর্তী এলাকায় তাদের বাড়ী। এক সময় তাদের স্বচ্ছল পরিবার ছিল। কিন্তু তাদের দেশে বিদেশী সৈন্যদের অগ্রাসনের পর থেকে তাদের অর্থনৈতিক অবস্থা খারাপ হতে শুরু করে। এখন তাদের সারাদিন কঠোর পরিশ্রম করে খাবার যোগাতে হয়। তারপরও সন্তানের মুখের দিকে তাকিয়ে তারা সব কষ্ট ভুলে থাকার চেষ্টা করে। তারা স্বপ্ন দেখে একদিন তাদের দেশ স্বাধীন হবে। দূর হয়ে যাবে সব কষ্ট।
একটি স্বাধীন দেশের নাগরিক হয়েও তাদের নিজ ইচ্ছায় কোন কিছু করার স্বাধীনতা নেই। তাদের দেশ কি কখনও সত্যিকারভাবে স্বাধীন হবে না। দালিহা দীর্ঘশ্বাস ফেলে। হঠাৎ করে তাদের বাড়ীর ছাদের উপর দিয়ে একটি প্লেন উড়ে যায়। অজানা আশংকায় দালিহার বুক কেঁপে উঠে। দালিহা ছুটে যায় তার ঘুমন্ত দুই শিশুর দিকে। কিন্তু মাঝ পথেই তাকে থেমে পড়তে হয়। তাদের বাড়ীর ছাদ তার উপর ভেঙে পড়ে। ইসরাইলি যুদ্ধ বিমান তাদের বাড়ীর উপর বোমা নিক্ষেপ করেছে। দালিহা মারা যাবার আগে আগে ফিসফিস করে বলতে থাকে-হে, করুণাময় আমার প্রানের বিনিময়ে হলেও তুমি আমার সন্তানদের রক্ষা কর। দালিহার জানা নেই তার দেব শিশুরা তার আগেই মারা গিয়েছে।
(টিভিতে বা পত্রিকায় যখন আফগানিস্তানে ইসরাইলী হামলার খবরগুলি পড়ি তখন মাঝে মাঝে সৃষ্টিকর্তার উপর খুব অভিমান হয়। কিন্তু পরক্ষণে মনে হয় অভিমানতো করে আছেন তিনি আমাদের উপর। ইসরাইল কি এমনই এক মহাশক্তি যাকে নিয়ন্ত্রণ করার জন্যে খোদ সৃষ্টিকর্তাকে পৃথিবীতে নেমে আসতে হবে। আমরা সৃষ্টির সেরা জীব মানুষরা তাহলে কি করব। স্বয়ং ইসরাইলে এ হামলা বন্ধ করার জন্য রাস্তায় হাজার হাজার মানুষ বিক্ষোভ করছে। তারপরও আমেরিকা এ হামলাকে বৈধতা দেযার চেষ্টা করছে। ওসামা-বুশ সব একই পথের পথিক। আর পম্চিমা বিশ্বের পদলেহনকারী সংস্থা জাতি সংঘের কথা নাই বা বললাম। ইসরাইলী বাচ্চারা মিসাইলের উপর দুষ্টুমি করে ছড়া লিখছে আর সেই মিসাইল ফেলা হচ্চে আফগান শিশুদের উপর।)
সব মৃত্যুই কষ্টের। কিন্তু কিছু মৃত্যু আছে যা কোন ভাবেই মেনে নেয়া যায় না..........
এখানে প্রতিদিন ভোর হয় ট্যাংক, মর্টার আর গুলির শব্দে
তোমরা কি তা শুনতে পাও?
এখানে বাতাসে ভেসে বেড়ায় মৃত্যু আর লাশের গন্ধ
তোমরা কি তা অনুভব করতে পারো?
মরুভূমির মাঝে দুপুর আসে প্রখর রৌদ্র তাপ নিয়ে
পুড়িয়ে দিয়ে যায় সব কিছু আর তার সাথে পুড়তে থাকে
দুমড়ানো পুতুলের মত রাস্তায় পড়ে থাকা বাচ্চাদের মৃত দেহগুলি
তোমরা কি তা দেখতে পাও?
সন্ধ্যার গোধূলি রক্তে রাঙিয়ে দেয় আকাশটাকে
তোমরা কি জানো এটা আমাদেরই রক্ত?
চুপি চুপি রাত আসে আমাদের আধাঁরে ঢেকে দিতে
এই আধাঁরে ঢেকে যায় আমাদের সব স্বপ্ন, আশা, আকাঙ্খা
এই আধাঁর কি ঢেকে ফেলতে পারবে তোমাদের ব্যার্থতার লজ্জা?
প্রভাতের প্রথম রশ্মি তার ঘুমন্ত বাচ্চাদের মুখে এসে পড়ে। একটার বয়স আট, অপরটির চার। দালিহা মুগ্ধ হয়ে তাকিয়ে থাকে। ভোরের এই আলোয় তার সন্তানদের মুখ স্বর্গের দেবদূতের মতো মনে হয়। ফিলিস্তিনের গাজা সীমান্তবর্তী এলাকায় তাদের বাড়ী। এক সময় তাদের স্বচ্ছল পরিবার ছিল। কিন্তু তাদের দেশে বিদেশী সৈন্যদের অগ্রাসনের পর থেকে তাদের অর্থনৈতিক অবস্থা খারাপ হতে শুরু করে। এখন তাদের সারাদিন কঠোর পরিশ্রম করে খাবার যোগাতে হয়। তারপরও সন্তানের মুখের দিকে তাকিয়ে তারা সব কষ্ট ভুলে থাকার চেষ্টা করে। তারা স্বপ্ন দেখে একদিন তাদের দেশ স্বাধীন হবে। দূর হয়ে যাবে সব কষ্ট।
একটি স্বাধীন দেশের নাগরিক হয়েও তাদের নিজ ইচ্ছায় কোন কিছু করার স্বাধীনতা নেই। তাদের দেশ কি কখনও সত্যিকারভাবে স্বাধীন হবে না। দালিহা দীর্ঘশ্বাস ফেলে। হঠাৎ করে তাদের বাড়ীর ছাদের উপর দিয়ে একটি প্লেন উড়ে যায়। অজানা আশংকায় দালিহার বুক কেঁপে উঠে। দালিহা ছুটে যায় তার ঘুমন্ত দুই শিশুর দিকে। কিন্তু মাঝ পথেই তাকে থেমে পড়তে হয়। তাদের বাড়ীর ছাদ তার উপর ভেঙে পড়ে। ইসরাইলি যুদ্ধ বিমান তাদের বাড়ীর উপর বোমা নিক্ষেপ করেছে। দালিহা মারা যাবার আগে আগে ফিসফিস করে বলতে থাকে-হে, করুণাময় আমার প্রানের বিনিময়ে হলেও তুমি আমার সন্তানদের রক্ষা কর। দালিহার জানা নেই তার দেব শিশুরা তার আগেই মারা গিয়েছে।
(টিভিতে বা পত্রিকায় যখন আফগানিস্তানে ইসরাইলী হামলার খবরগুলি পড়ি তখন মাঝে মাঝে সৃষ্টিকর্তার উপর খুব অভিমান হয়। কিন্তু পরক্ষণে মনে হয় অভিমানতো করে আছেন তিনি আমাদের উপর। ইসরাইল কি এমনই এক মহাশক্তি যাকে নিয়ন্ত্রণ করার জন্যে খোদ সৃষ্টিকর্তাকে পৃথিবীতে নেমে আসতে হবে। আমরা সৃষ্টির সেরা জীব মানুষরা তাহলে কি করব। স্বয়ং ইসরাইলে এ হামলা বন্ধ করার জন্য রাস্তায় হাজার হাজার মানুষ বিক্ষোভ করছে। তারপরও আমেরিকা এ হামলাকে বৈধতা দেযার চেষ্টা করছে। ওসামা-বুশ সব একই পথের পথিক। আর পম্চিমা বিশ্বের পদলেহনকারী সংস্থা জাতি সংঘের কথা নাই বা বললাম। ইসরাইলী বাচ্চারা মিসাইলের উপর দুষ্টুমি করে ছড়া লিখছে আর সেই মিসাইল ফেলা হচ্চে আফগান শিশুদের উপর।)
সব মৃত্যুই কষ্টের। কিন্তু কিছু মৃত্যু আছে যা কোন ভাবেই মেনে নেয়া যায় না..........
এখানে প্রতিদিন ভোর হয় ট্যাংক, মর্টার আর গুলির শব্দে
তোমরা কি তা শুনতে পাও?
এখানে বাতাসে ভেসে বেড়ায় মৃত্যু আর লাশের গন্ধ
তোমরা কি তা অনুভব করতে পারো?
মরুভূমির মাঝে দুপুর আসে প্রখর রৌদ্র তাপ নিয়ে
পুড়িয়ে দিয়ে যায় সব কিছু আর তার সাথে পুড়তে থাকে
দুমড়ানো পুতুলের মত রাস্তায় পড়ে থাকা বাচ্চাদের মৃত দেহগুলি
তোমরা কি তা দেখতে পাও?
সন্ধ্যার গোধূলি রক্তে রাঙিয়ে দেয় আকাশটাকে
তোমরা কি জানো এটা আমাদেরই রক্ত?
চুপি চুপি রাত আসে আমাদের আধাঁরে ঢেকে দিতে
এই আধাঁরে ঢেকে যায় আমাদের সব স্বপ্ন, আশা, আকাঙ্খা
এই আধাঁর কি ঢেকে ফেলতে পারবে তোমাদের ব্যার্থতার লজ্জা?
No comments:
Post a Comment