গাজায় ইসরাইলী অন্যায় হামলার প্রতিবাদ এবং এতে যুক্তরাষ্ট্রের সম্মতি থাকার প্রতিবাদে মহাথীর মোহাম্মদ এর আহবানে মালয়শিয়ায় মার্কিনপণ্য বর্জন শুরু হয়েছে। প্রথম পদক্ষেপে কোমল পানীয় বিক্রি বন্ধ হতে যাচ্ছে। পরবর্তীতে আরও ১০০ টি পণ্য বর্জন করা হবে। মহাথীর মোহাম্মদ বিম্বের সফল রাষ্ট্রনায়কদের একজন। বলা হয়ে থাকে একজন সফল রাষ্ট্র নায়ক ভবিষ্যত দেখতে পান। ক্ষমতায় থাকাকালীন উনার অজান্তে কিছু দিন উনার অফিস সময় সূচী ট্রেক করা হয়। এমন কোন দিন পাওয়া যায়নি যেদিন তিনি অফিস আওয়ারের পর অফিসে পৌছেছেন। সেই মহাথীর যখন কোন কথা বলবেন নিশ্চয়ই এর পেছনে কোন যুক্তি থাকবে।
প্রথমে মনে হতে পারে তিনি আবেগে বশবর্তী হয়ে এধরনের একটি অযৌক্তিক পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছেন। কিন্তু একটু গভীর ভাবে চিন্তা করলে এর কারণটা বোঝা যাবে। বর্তমানে মধ্য প্রাচ্যের দেশগুলি হচ্ছে মার্কিন পণ্য বাজারের জন্য সবচেয়ে উপযুক্ত স্থান। মার্কিন রাজস্বের একটা বড় অংশ আসে এখান থেকে। বিশ্বের যে সব দেশগুলিতে মার্কিন পণ্যের বড় ধরনের বাজার রয়েছে সে সব দেশগুলিতে যদি মার্কিন পন্য বর্জন শুরু হয় তবে মার্কিন অর্থনীতি বড় ধরনের ধাক্কা খেতে বাধ্য। এবং এটাই একমাত্র উপায় মার্কিন প্রশাসনের অহঙ্কারী মেরুদন্ড ভেঙ্গে দেবার। মার্কিন প্রশাসন মুখে যত বড় বড় কথাই বলুক তাদের অর্থনীতির উপর কোন ধরনের আঘাত আসলে তারা যে কোন অবস্থায় তা প্রতিহত করার চেষ্টা করবে। এবং এভাবেই তাদের নতজানু করে কোন দাবী আদায় সম্ভব হবে।
এর বড় একটি উদাহরণ হচ্ছে দক্ষিণ কোরিয়া। সেখানে কিছুদিন আগে এক ঝাড়ুদার পদের জন্য ডক্টরেট করা একজন বিজ্ঞানী এ্যাপ্লাই করেছেন। বাংলাদেশ থেকে কোরিয়া অনেক ডেভেলপমেন্ট একটি কান্ট্রি। সেখানেই এ অবস্থা। শেষ পর্যন্ত অবশ্য কর্তৃপক্ষ উনাকে নেননি কারণ একজন বিজ্ঞানী আর যাই পারুক ঝাড়ু দেয়ার কাজ ঠিক মত করতে পারবেন না। এ থেকেই বোঝা যায় পশ্চিমা বিশ্বও বর্তমানে তাদের অর্থনীতি নিয়ে খুব চিন্তিত।
বিশ্বের বিভিন্ন দেশে দেশে মিটিং, সভা সমিতি আর রাস্তায় বিক্ষোভ আর মিছিল করে মার্কিন প্রশাসনের খুব একটা কিছু করা সম্ভব নয়। কারণ শুধু আবেগ দিয়ে যুদ্ধে জয় লাভ করা যায না। ইসরাইলের মত ছোট একটি দেশ বিশ্ব জনমতকে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে তাদের যুদ্ধ ঠিকই চালিয়ে যাচ্ছে। তাদের এই সাহসের পেছনে এক মাত্র কারণ হচ্ছে তাদের প্রাণের দোসর আমেরিকা তাদের পেছনে রয়েছে। এদের কাছে মানবতা বলে কোন কিছু নেই। স্বার্থের জন্য এরা পারে না এমন কিছু নেই।
তবে এর উল্টা দিকও আছে। অনেক দেশ থেকে বিভিন্ন পন্য আমেরিকায় যায়। এটা করা হলে ঐ সব দেশের অর্থনীতিও হুমকির সম্মুখিন হয়ে পড়বে। সাময়িক এ ক্ষতিটুকু আমাদের মেনে নিতে হবে। কারণ ভাল একটা কিছু করতে গেলে কিছু সমস্যা আসবেই।
এখন মধ্যপ্রাচ্যের আরব শেখদের মাথায় এটা ঢুকলেই হয়। কারণ মার্কিন বিলাসী পণ্য ছাড়াতো তাদের আবার এক দিনও চলে না। মদ থেকে শুরু করে বাথরুম করার টিস্যু পেপারটা পর্যন্ত তাদের মার্কিন হওয়া চাই। এখন সময় এসেছে তাদের হারেম থেকে বেরিয়ে এসে গায়ের চর্বি একটু কমানোর। কয়েক দিনের জন্য সুরা পান একটু বন্ধ রাখলে খুব একটা ক্ষতি হবে না।
ভাল কোন কিছুর জন্য এগিয়ে আসলে ঈশ্বর অবশ্যই সহায়তা করবেন।
Wednesday, January 14, 2009
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
No comments:
Post a Comment