নরকে শয়তানের দিন খুব একটা ভাল কাটছে না। অনেক দিন পৃথিবীতে মজার কোন ঘটনা ঘটছে না। যুদ্ধ-বিগ্রহ আর কতকাল ভাল লাগে। পৃথিবীতে উনার সাগরেদরা (বুশ-কন্ডোলিনা-ডিক চেনি-ব্লেয়ার সহ আরও অনেকে) আজকাল তেমন ভাল কাজ দেখাতে পারছে না। তবে তাদের খুব একটা দোষ দিয়েও কোন লাভ নেই। পৃথিবীতে টেকনোলজির এত দ্রুত উন্নতি ঘটছে যে কাজ করা মুশকিল হয়ে পড়েছে। দুনিয়া চলে আসছে মানুষের হাতের মুঠোয়। তবে এর একটা ভাল দিকও আছে। মানুষ দিন দিন হয়ে পড়ছে আবেগশূন্য। তেলের জন্য ইরাকে, এক খন্ড জমির জন্য গাজায় নির্বিচারে মানুষ হত্যা করা হচ্ছে। কেউ কিছু বলছে না। বড় বিচিত্র এ যুগের মানুষ। এদের বোঝা খোদ ইবলিশ শয়তানের পক্ষেও দুস্কর।
তবে সেদিন পৃথিবী থেকে উনার এক সাগরেদ মেইল পাঠাল। মেইল পড়ে হাসতে হাসতে উনার অবস্থা কাহিল। অনেক দিন এমন মজার ঘটনা ঘটেনি। ঢাকার সবচেয়ে বড় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে জুমার নামাজ পড়ানোর তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে দুই দল মুসল্লিদের মধ্যে হাতাহাতি এবং এক পর্যায়ে জুতা চালাচালি চলেছে।
দিন দিন মানুষের কাছে জুতা খুব পছন্দের জিনিসে পরিণতে হয়ে পড়ছে। সেদিন ইরাকে বুশকে লক্ষ্য করে জুতা নিক্ষেপ করা হল। সংসদের মধ্যে অনেক সময় এক দল আরেক দলকে উদ্দেশ্য করে জুতা চালাচালি করে। আর আজ মসজিদে ইমামতি করা নিয়ে জুতা মারার ঘটনা ঘটল। তবে মজার ঘটনা হচ্ছে এই সব মুসল্লিরাই ধর্ম নিয়ে বেশী চিল্লা ফাল্লা করে থাকে। কথায় কথায় মসজিদ আল্লার ঘর বলে মুখে ফেনা তুলে ফেলে। রাস্তার পাশে গড়া ভাস্কর্য ভাঙার জন্য মাথায় পাগড়ি বেঁধে ইয়া আলী বলে ঝাঁপিয়ে পড়ে। সেই তারাই মসজিদের ভেতরে এরকম এক ঘটনা ঘটাল। তখন ধর্মের কোন সমস্যা হয়নি। প্রথম এ্যাকশন শুরু হয় নামাজের পূর্বে। যখন ইমাম সাহেব খুতবা পাঠ করার জন্য উঠে দাঁড়ান। পুনরায় দ্বিতীয় এ্যাকশন শুরু হয় নামাজের পর।
আবার এই দেশের ছেলেরাই তাদের ভাষা, তাদের দেশকে রক্ষা করার জন্য যুদ্ধে ঝাপিয়ে পড়ে।
এই দেশের লোকদের কোন ভাবেই বোঝা সম্ভব হচ্ছে না। শেষ পর্যন্ত নরকের শয়তান সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়-সত্যিই বড় বিচিত্র এই দেশ। আরও বিচিত্র এই দেশের লোকজন।
Monday, January 12, 2009
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
No comments:
Post a Comment