১. আলোচনা হচ্ছিল মালয়েশিয়ার এক মন্ত্রী ও বাংলাদেশের এক মন্ত্রীর মধ্যে।
মালয়েশিয়ার মন্ত্রী: আমরা আমাদের দেশের লোকদের বিভিন্ন সমস্যার স্থায়ী সমাধানের চেষ্টা করে থাকি। ধরা যাক শীতার্ত একজন লোক। তাকে আমরা আগুন জ্বালানো শিখিয়ে দেই। ফলে তার আর কখনই উষ্ণতার অভাব হয়না।
বাংলাদেশের মন্ত্রী: আমাদের নীতি আরও সহজ। একজন শীতার্তকে আগুন জ্বালানো শিখানো সমসাপেক্ষ কাজ। আমরা বলি একজন শীতার্তকেই আগুনে পুড়িয়ে দাও, তাহলে বাকী জীবন আর তার
উষ্ণতার দরকারই হবে না।
২. মারা গেছেন বুশ। ততদিনে আমেরিকা সারা বিশ্বে যুদ্ধ করতে করতে ক্লান্ত বিধ্বস্থ। তাই বুশের মৃত্যুতে আমেরিকানরা উল্লসিত। বুশকে কবর দেয়ার দায়িত্ব নিতে চাইল তার আজীবনের বন্ধু ইহুদীরা। ইহুদীদের প্রধান এ ব্যাপারে আমেরিকানদের কাছে আবেদন জানাল। কিন্তু আমেরিকানরা এই প্রস্তাব ফিরিয়ে দিল-যা ব্যাটা, তোদের বিম্বাস নেই। তোরা যীশু খৃষ্টকে কবর দিয়েছিলি, তিনি তিনদিন পর বেঁচে উঠেছিলেন। বুশকে পুনর্জন্ম নেবার কোন রিক্স আমরা নিতে পারি না।
৩. জর্জ ওয়াশিংটন এক দিনের জন্য পৃথিবীতে আসার ইচ্ছা পোষণ করলে ঈশ্বর তার ইচ্ছা পূরণ করেন। কফিন থেকে পুর্নজন্ম নিয়ে বেরিয়ে এসে সামনে কবরস্থানের কেয়ারটেকারকে দেখতে পান। জর্জ ওয়াশিংটনের খুব ক্ষিদে পেয়েছে। কেয়ারটেকারকে বললেন-তুমি কি আমার জন্য একটু শিক কাবাবের ব্যবস্থা করতে পারবে। সামনে জলজ্যান্ত ওয়াশিংটনকে দেখে কেয়ারটেকারের ভিমরি খাবার অবস্থা। এক্ষুণি ব্যবস্থা করছি স্যার-কেয়ারটেকার পড়িমড়ি করে ছুট লাগাল। প্রথমেই সে গিয়ে ফোন দিল জর্জ বুশের কাছে। জর্জ বুশ কেয়ারটেকারকে নিয়ে ছুটে চলে আসেন কবরস্থানে। বুশকে দেখে ওয়াশিংটন বিরক্ত গলায় কেয়ারটেকারকে বলেন- তোকে আনতে বললাম শিক কাবাব, আর তুই কিনা আস্ত গরুটাই এখানে নিয়ে এলি।
৪. দেশের সেরা দশজন রাজনীতিবিদ নিয়ে দূর গ্রামে বিধ্বস্থ হয়েছে একটি হেলিকপ্টার। খবর পেয়ে উদ্ধারকারী দল রওয়ানা হল। গ্রামে পৌছে দেখল দশটি সারিবদ্ধ কবর। গ্রামবাসীরা ইতিমধ্যেই তাদের কবর দিয়ে ফেলেছ। উদ্ধারকারী দলের নেতা পাশে দাড়ানো গ্রামবাসীর কাছে জানতে চাইলে- সবাই কি এক সাথেই মারা গিয়েছিল।
লোকটি দাঁত কেলিয়ে বলল-দুয়েক জন অবশ্য কবর দেয়ার আগ পর্যন্ত বলছিল যে, তারা মরেনি, বেঁচে আছে। আমরা তাদের কথা মোটেও বিশ্বাস করিনি। কারণ আপনারাতো জানেনই যে, রাজনীতিবিদ নেতারা কত মিথ্যা কথা বলে থাকেন। আমরা সবাইকেই কবর দিয়েছি।
৫. বাংলাদেশের টি.এন্ড.টি মন্ত্রী গেছেন ব্রিটেনে। ব্রিটেনের টি.এন্ড.টি মন্ত্রী উনাকে জংলা মত একটি জায়গায় নিয়ে গিয়ে বললেন-মাটি খুড়ুন।
বাংলাদেশের মন্ত্রী মাটি খুড়তে শুরু করলেন। দশ ফুট মাটি খুড়ে পাওয়া গেল জীর্ণ টেলিগ্রাফের তার। ব্রিটেনের মন্ত্রী সগর্বে বললেন-দেখলেনতো দুইশ বছর আগেও আমাদের দেশে টেলিগ্রাফের প্রচলন ছিল।
এর কিছুদিন পর ব্রিটেনের টি.এন্ড.টি মন্ত্রী এসেছেন বাংলাদেশে। বাংলাদেশের মন্ত্রীও উনাকে জংগলে গিয়ে মাটি খুড়তে অনুরোধ করলেন। মন্ত্রী খুড়তে আরম্ভ করলেন। দশ-বিশ-ত্রিশ ফিট পর্যন্ত খোড়া হল। কিন্তু কিছুই পাওয়া গেল না। ব্রিটেনের মন্ত্রী বিরক্ত হয়ে বললেন-কই, কোন তারইতো পাচ্ছি না।
এবার গর্বের সাথে উত্তর দিলেন বাংলাদেশের মন্ত্রী-তাহলেই বুঝুন, দুইশ বছর আগেই আমাদের দেশে মোবাইল ফোনের প্রচলন ছিল।
৬. আমাদের দেশের এক রাজাকার মন্ত্রী যাচ্ছেন গ্রামের রাস্ত দিয়ে। হঠাৎ করে একটি শূকর ছানা উনার গাড়ীর নিচে চাপা পড়ল। মন্ত্রী ড্রাইভারকে বললেন -আহা, কার জানি শূকর ছানা। তুমি গ্রামের ভিতরে গিয়ে এর মালিককে উপযুক্ত দাম দিয়ে এস।
ঘন্টা খানেক পর মন্ত্রীর ড্রাইভার হাসতে হাসতে হাতে একটি ঝুড়িতে করে অনেক ফলমূল-শাকসব্জি নিয়ে আসছে-গ্রামবাসীরা ভালবেসে আমাকে এ সব উপহার দিয়েছে।
মন্ত্রী খুব অবাক হলেন। জানতে চাইলেন-তুমি তাদের গিয়ে আসলে কি বলেছ?
ড্রাইভার উত্তর দিল-আমি গিয়ে বললাম, আমি অমুক মন্ত্রীর ড্রাইভার। তারপর একটু থেমে বললাম, শুওরের বাচ্চাটাকে রাস্তায় আমিই মেরে ফেলেছি। তারপর সবাই খুশি হয়ে আমাকে এই সব দিল।
৭. বিরোধী দলীয় নেতা সমুদ্র সৈকতে একটি প্রাচীন বোতল কুড়িয়ে পেলেন। বোতলের ছিপি খুলতেই ভেতর থেকে এক দৈত্য। নেতাকে কুর্নিশ করে দৈত বলল-আপনি আমাকে জাদুর বোতল থেকে মুক্ত করেছেন, তাই আমি আপনার তিনটি ইচ্ছা পূরণ করব। তবে শর্ত হচ্ছে আপনি যা পাবেন আপনার প্রতিপক্ষ নেতা পাবে এর দুই গুণ।
ঠিক আছে-নেতা রাজী হলেন। আমার প্রথম ইচ্ছা একটি বিলাস বহুল বাড়ী, ২য় ইচ্ছা একটি বিলাস বহুল গাড়ী, আর শেষ ইচ্ছা আমি আমার একটি কিডনি জনস্বার্থে দান করে দিতে চাই।
৮. নির্বাচন সামনে রেখে এক ডেমোক্রেট আর রিপাবলিকানের মধ্যে কথা হচ্ছিল।
ডেমোক্রেট-আমি যখন কোন টেক্সিতে চড়ি তখন সেই টেক্সি ড্রাইভারের সাথে খুব ভাল ব্যবহার করি। প্রথমে তার ছেলে মেয়ের কোজ খবর নেই, তাকে মোটা বকশিস দেই। এবং নামার সময় বলি ডেমোক্রেটদের ভোট দিও।
রিপাবলিকান-আমি টেক্সিতে উঠেই ড্রাইভারকে গালাগালি দিতে শুরু করে দেই। সিগারেট ধরিয়ে তার মুখে ধোয়া ছেড়ে দেই, এক টাকাও টিপস দেই না। তবে নামার সময় তোমার মতই বলি ডেমোক্রেটদের ভোট দিও।
সংগ্রহ: আরিফ জেবতিক সম্পাদিত পলিটিক্যাল জোকস।
Monday, April 27, 2009
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
No comments:
Post a Comment