লোকটাকে প্রথম দেখে আমি চমকে উঠি। আরে ইনি যে অনেকটা রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের মত দেখতে। মুখে লম্বা দাড়িঁ। চোখে চশমা। হাঁটেন মাথা নীচু করে। স্বল্পভাষী লোকটা সব সময় কি যেন চিন্তা করেন। অনেকটা আপন খেয়ালে মগ্ন।
পরে জানতে পারলাম ইনি কবি নির্মলেন্দু গুণ। কবিতা আমি বুঝি না। কিন্তু কবি নির্মলেন্দু গুণ কি এক অজানা কারণে আমাকে আকৃষ্ট করতেন। হয়ত উনার সাধাসিধা চলন। হয়তবা উনার ব্যক্তিত্ব। আমি ঠিক জানি না।
‘আবদুল গাফফার চৌধুরী ও নির্মলেন্দুগুণের দৃষ্টিতে জয়নাল হাজারী’-তরফদার প্রকাশনী। বইটি একুশের বই মেলায় পাওয়া যাচ্ছে। দাম ২০ টাকা। আমি বিস্মিত হইনি। এখন আর আমি কোন কিছুতে তেমন একটা বিস্মিত হই না।
বইটি আমি পড়িনি, পড়ার কোন আগ্রহও নেই। বইয়ে কি লেখা আছে আমার জানা নাই। কিন্তু আমি যেটা জানি সেটা হচ্ছে-প্রতিনিয়ত আমরা দানবীয় শক্তির কাছে কত সহজেই না পরাজিত হচ্ছি। কিন্তু তারপরও বুকের মাঝে কেমন এক চাপা কষ্টের অনুভূতি এসে ভিড় করে। মন বিদ্রোহ করে উঠে। কেন এমন হয়। এত সহজে কেন আমরা হার মানি।
শুধু দীর্ঘ শ্বাস ফেলে ভাবি গুণ দা শেষ পর্যন্ত আপনিও.......
ছবি সূত্র: কালের কন্ঠ, ২২.০২.২০১০
Thursday, February 25, 2010
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
No comments:
Post a Comment