Saturday, February 20, 2010

টুকরো খবর।

খবর-১


চারদিনের ভারত সফর শেষ করে গতকাল প্রধানমন্ত্রী দেশে ফিরলেন। আওয়ামী লীগসহ বিভিন্ন স্তরের জনগণ বিমানবন্দরে উনাকে সংবর্ধনা জানায়। সংবর্ধনা দিতে আসা রাস্তার দুই পাশের মানুষ ফুলের পাপড়ি ছিটিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে শুভেচ্ছা জানায়। বিমানবন্দর থেকে প্রধানমন্ত্রীর গাড়ী বহর প্রধান সড়কে আসলে আওয়ামী লীগ নেতা কর্মীদের শ্লোগানে মুখরিত হয়ে উঠে পুরো এলাকা। প্রধানমন্ত্রীকে সংবর্ধনা দিতে দুপুর থেকেই পুরো বিমানবন্দর এলাকা লোকেলোকারণ্য হয়ে উঠে। নেত্রীকে শুভেচ্ছা জানাতে বিমান বন্দরে ট্রাক-বাসে করে আসা নেতাকর্মীরা সঙ্গে নিয়ে আসে ব্যান্ড পার্টি আর মাইক। ট্রাকের উপর নেচে গেয়ে তারা আনন্দ প্রকাশ করে। শুভেচ্ছাবার্তা সম্বলিত ব্যানারে ছেয়ে যায় পুরো বিমান বন্দর এলাকা।


অনেক দিন পর এমন আনেন্দর সংবাদ পড়লাম ভাল লাগল। আরও ভাল লাগল দেশের মানুষ প্রধানমন্ত্রীকে এত ভালবাসে জেনে। কিন্তু তারপর নিচের খবরটি আর ভাল লাগল না-


খবর-২


গতকাল নগরবাসীকে দীর্ঘ যানজটের দুভোর্গ পোহাতে হয়েছে। পুরো এলাকায় ভয়াবহ জানজটের সৃষ্টি হয়। একদিকে শীতের তীব্রতা আর অপর দিকে ভয়াবহ যানজট। বিমানবন্দর থেকে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় পর্যন্ত ২ ঘন্টা সড়কের একদিকে যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকায় এর প্রভাব রাত ১১ টা পর্যন্ত বিরাজ করে। হাজার হাজার নেতাকর্মীদের পদচারণায় উত্তরা থেকে মহাখালী পর্যন্ত যানচলাচল বন্ধ হয়ে যায়। অন্য দিকে প্রধানমন্ত্রীর আগমনের পোনে এক ঘন্টা আগেই যানচলাচল বন্ধ করে দেয় ডিএমপির প্রোটেকশন বিভাগ। এতে ঘরমুখী মানুষকে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়। ঘন্টার পর ঘন্টা বাস স্ট্যান্ডে দাড়িয়ে থেকে যাত্রীরা বাস পায়নি। যারা বাসে চরতে পেরেছেন যানজটের কারণে তাদের গাড়ীগুলি ঠায় দাড়িয়ে থাকে। অনেকেই বাধ্য হয়ে বাস থেকে নেমে বাড়ীর উদ্দেশ্যে রওনা দেন।


** আমার বক্তব্য হচ্ছে গতকাল কি সরকারী ছুটি ছিল। যদি না হয়ে থাকে তাহলে সারাদিন কাজ করে কর্মজীবি মানুষরা কিভাবে বাড়ী যাবেন এটা ভেবে দেখার মত কোন লোক কি সরাকারের ডিপার্টমেন্টে ছিলেন না। আর প্রধানমন্ত্রী কি এই প্রথম বিদেশ থেকে দেশে আসলেন। তাহলে হঠাৎ করে এত বিশাল আয়োজনের কি দরকার ছিল। উনার নেতাকর্মীদের যদি আনন্দ করার এতই ইচ্ছে থেকে থাকে তাহলে উনারা বিমানবন্দরের কাছাকাছি কোন খালি মাঠে গিয়ে নাচ গান করতে পারতেন, রাজপথে কেন। প্রধানমন্ত্রী নিশ্চয়ই পত্রিকা পড়েন সেখান থেকে তিনি জনগণের কালকের দুর্ভোগের কথা জানতে পারবেন। তা থেকে তিনি কি ভবিষ্যতের জন্য উনার কর্মীদের সতর্ক করবেন নাকি তাদের সুরেই সুর মিলাবেন।


যদি তাই হয়ে থাকে তাহলে ঐ দিন তিনি যেন ঢাকায় সাধারণ ছুটি ঘোষণা করে দেন। কারণ আমি নিজেও গতকালকের দুর্ভোগের একজন ভোক্তভূগী। পুনরায় আর এর পুনরাবৃত্তি কামনা করি না।

No comments: